চুল কাটায় নজরদারি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৮

হেয়ার ফ্যাশন নিয়ে বিপাকে তরুণরা। প্রশাসনের কড়া নজর এখন তরুণদের চুলের দিকে। নির্দেশ দিয়ে বাধ্য করে চুল কাটা হচ্ছে তরুণদের। কিভাবে চুল কাটতে হবে সেই সাজেশনও দেয়া হচ্ছে। দেশের অন্তত আটটি জেলায় ঘটেছে এ ধরণের ঘটনা। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমেও। পুলিশ সদরদপ্তরের এ ধরণের কোনো নির্দেশনা না থাকলেও বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তরুণদের চুল নিয়ে বেশ তৎপর।হলিউড, বলিউডের হিরো, রেসলিং খেলোয়ারসহ বিখ্যাতদের অনুকরণে চুল কাটছেন এ দেশের তরুণরা। এই ফ্যাশনকে সহজভাবে নিচ্ছে না প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। তাই চুল কাটা অভিযানে নেমেছেন তারা। সেলুন মালিকদের নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিভাবে চুল কাটতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামরিক সরকারের সময়ে তরুণদের লম্বা চুল জোর করে কেটে দেয়ার গল্প নতুন করে প্রকাশ পাচ্ছে লোকমুখে। উদাহরণ দেয়া হচ্ছে এই সময়ে জোর করে চুল কাটার সঙ্গে।গত বুধবার আগস্ট কুমিল্লায় তিন স্কুল ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মারুফ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও ভূবনঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মিজানকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের চুল কেটে দেয়। পরে তাদের অভিভাবকরা এসে মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, মার্জিতভাবে চুলকেটে ও ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যেতে হবে। ইভটিজিং এবং বখাটেপনা রোধ করতে ও তাদেরকে বিদ্যালয়গামী করতে এ ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে এবং এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।সম্প্রতি ফ্যাশন করে চুল না কাটতে সেলুন মালিক ও নরসুন্দরদের লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ব্যাপক মাইকিং, সেলুনকর্মীদের নিয়ে বৈঠকসহ নানা রকম প্রচারণা চালায় পুলিশ। সেলুন মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়, কোনো সেলুনকর্মী কারও চুল কিংবা দাড়ি যেন মডেলিং ও বখাটে স্টাইলে না কাটেন। একইভাবে  রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বখাটে স্টাইলে চুল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নরসুন্দরদের সঙ্গে বৈঠক করে।তার আগে গত মার্চে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফ্যাশন করে চুল কাটলে সংশ্লিষ্ট সেলনুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা দিয়ে আলোচনার জন্ম দেন। পরবর্তীতে ঝালকাঠিতে তরুণদের ধরে ধরে চুল কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও চুল কাটা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পুলিশকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, এটি এক ধরণের ফৌজদারি অপরাধ। প্যানাল কোডের ৩৪১ ধারা অনুসারে বেআইনিভাবে কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এটি শস্তিযোগ্য।  তিনি বলেন, সংবিধানে মানুষের চলার অধিকারের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। চুল কে কিভাবে কাটবে এটা তার অধিকার। এটা নিয়ে যদি নির্দেশনা জারি করা হয় বা জোর করা হয় তা হবে সংবিধানের ৩১ ও ৩২ ধারার লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আইনানুগ সহযোগিতা নিতে পারেন বলে জানান তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও