কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা ছারোয়ার খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পসহ হোল্ডিং নম্বর, ট্যাক্স ও জন্ম নিবন্ধনের টাকা আদায়পূর্বক পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের দাখিলকৃত অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার সৈয়দ ম্যানশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাবেক ভিপি মো. মনির হোসেন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাহেবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা ছারোয়ার খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়েরও প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন-ভাতা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইউপি বাসিন্দাদের কাছ থেকে মনগড়াভাবে ট্যাক্স ধার্য করে আদায়পূর্বক প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কাজ না করেই এলজিএসপি বরাদ্দের প্রায় ২৫ লাখ টাকা, টিআর, কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১% হারে প্রাপ্ত কমিশনের প্রায় ১৮ লাখ টাকা মেম্বারদের না জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব থেকে বিনা রেজুলেশনে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। তার বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনসহ নানা কাজে নাগরিকদের থেকে মনগড়া ও অতিরিক্ত ফির নামে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই ইউপির গণ্যমান্য ৪৪ জনের স্বাক্ষরে গত ১৭ই এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই এলাকার ভুক্তভোগী ও গণ্যমান্য অন্তত ২৫ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীন খান বলেন, চেয়ারম্যান (মোস্তফা ছারোয়ার খান) দেশের বাইরে আছেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে কিছু অভিযোগ সত্য, আর কিছু অভিযোগ রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। সহসা প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তদন্তাধীন বিষয় হওয়ায় এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও