কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিরাজের বিরুদ্ধে চার্জগঠন

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির যৌন হয়রানি (শ্লীলতাহানি) মামলার চার্জগঠন করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের আদালতে মামলার একমাত্র আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) সিরাজ উদ-দৌলার উপস্থিতিতে চার্জগঠন শেষে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭শে অক্টোবর ধার্য করেছে বলে জানিয়েছেন, ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহমেদ। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, গত ৩রা জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম। পরদিন গত ৪ঠা জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে। গত ৯ই জুলাই ওই আদালতে মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করে চার্জগঠনের জন্য গত ১৭ই জুলাই ধার্য করেছিল। ওই দিন চার্জগঠনের জন্য নির্ধারিত দিন থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে ৫ই আগস্ট নির্ধারণ করে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ২৭শে মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ওইদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআই ফেনীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই দায়িত্ব গ্রহণের ৯৬ দিনের মাথায় গত ৩রা জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৭১ পৃষ্ঠার ডকেটসহ ১০ পৃষ্ঠার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) একমাত্র আসামি করা হয় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) সিরাজ উদ-দৌলাকে। দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, নুসরাতের শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) সিরাজ উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তারের পর মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য নুসরাত জাহান রাফিকে চাপ দেয়া হয়। নুসরাত মামলা প্রত্যহারে অপারগতা প্রকাশ করলে গত ৬ই এপ্রিল আলীম পরীক্ষার হলের ছাদে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ই এপ্রিল মারা যায় নুসরাত। ওই ঘটনায় নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ওই মামলায় ৭৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও