যে পাঁচ পরিবেশ শিশুকে নার্সিসিস্টিক করতে পারে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৮

শিশুদের নার্সিসিস্টিক প্রবণতা হঠাৎ তৈরি হয় না; এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক, প্রত্যাশা ও পারিবারিক পরিবেশের ভেতর দিয়ে। পরিবারে ভালোবাসা হওয়ার কথা নিঃশর্ত, কিন্তু সেখানেই অনেক সময় শিশু শিখে ফেলে, তার মূল্য নির্ভর করে পরীক্ষার ফলাফল, পারফরম্যান্স কিংবা কতটা ‘প্রয়োজনীয়’ হয়ে উঠতে পারছে, তার ওপর। অতিরিক্ত প্রশংসা হোক বা অবমূল্যায়ন, অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ হোক বা অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিশুর নিজের সত্তা ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। চলুন জেনে নিই শৈশবের এমন পাঁচটি পরিবেশ, যা নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখে।


১. অতিরিক্ত প্রশংসায় বেড়ে ওঠা শিশু


আমাদের সমাজে অনেক পরিবারে সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা শুরুই হয় তুলনা দিয়ে। যেমন ‘আমার ছেলেটা ক্লাসে ফার্স্ট’, ‘আমার বাচ্চা অনন্য, প্রতিভাবান’। এ কথাগুলো আদরের প্রকাশ মনে হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে থাকে একধরনের অস্বাস্থ্যকর প্রশংসা। এখানে শিশুকে ভালোবাসা হয় না তার চেষ্টা, সততা বা শেখার আগ্রহের জন্য। তার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় তখনই, যখন সে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। এই পরিবেশে বড় হওয়া শিশুটি ভাবে, ভুল করা মানেই সে খারাপ।


২. অবমূল্যায়িত শিশু


এই পরিবেশ আগের পরিবেশের ঠিক উল্টো, কিন্তু ফলাফল প্রায় একই। অনেক পরিবারই শাসন ও অনুপ্রেরণার পার্থক্যটাকে গুলিয়ে ফেলে। তারা সন্তানের সাফল্যকে স্বাভাবিক ধরে নেয়, কিন্তু ব্যর্থতাকে বড় করে দেখে। তাদের আদেশ হলো, ভালো ফল করতেই হবে। আর খারাপ ফল করলে বকাঝকা ও তুলনা করা হয়। এই পরিবেশে বড় হওয়া শিশুটি ধীরে ধীরে শিখে ফেলে—তার সাফল্যের কোনো মূল্য নেই। তার অনুভূতিগুলো গুরুত্ব পায় না।তাকে কোনো বিষয়ে প্রশংসা করা হয় না।ভালোবাসা পাওয়া যায় শুধু শর্ত পূরণ করলে।ফলে শিশুটির ভেতরে তৈরি হয় একধরনের গভীর শূন্যতা, যা কেউ দেখে না, কিন্তু সে প্রতিদিন বয়ে বেড়ায়। সে বুঝে যায়, যেমন আছে, তেমন থাকলে তাকে গ্রহণ করা হবে না। তাই বাঁচতে গিয়ে সে গড়ে তোলে এক মিথ্যা সত্তা। এসব সত্তা হলো সব সময় নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা, সব সময় অন্যদের চোখে শ্রেষ্ঠ দেখানোর চেষ্টা ইত্যাদি।


৩. প্যারেন্টিফায়েড শিশু


প্যারেন্টিফায়েড বলতে বোঝায় এমন একটি অবস্থা, যেখানে একটি শিশুকে তার বয়সের আগেই বড়দের ভূমিকা নিতে বাধ্য করা হয়। অনেক পরিবারে কিছু শিশু খুব অল্প বয়সেই আর শিশু থাকে না। সংসারের চাপ, দাম্পত্য অশান্তি, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন কিংবা আবেগগত সমস্যা—এসবের ভার পড়ে তার কাঁধে। মা-বাবা নিজেদের দুঃখ ভাগ করেন, রাগ-হতাশা উগরে দেন। তখন শিশুটি হয়ে ওঠে তাঁদের আবেগ সামলানোর আশ্রয়।হঠাৎ করেই শিশুটি বড় হয়ে ওঠে। এই শিশুকে মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিতে হয়, তাঁদের মন বুঝতে হয়, সংসারে মানিয়ে নিতে হয়। ধীরে ধীরে সে শিখে ফেলে, তার নিজের অনুভূতিগুলো বিরক্তিকর ও অপ্রয়োজনীয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও