চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় বাড়ছে শীত
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্ব হয়ে উঠেছে চরমভাবাপন্ন। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তীব্র শীতের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের আগেই। আর তাপমাত্রার তুলনায় শীতের অনুভূতিও প্রকট। জনজীবন ইতোমধ্যেই শীতে অসাড় হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানে কোনো এলাকায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই তাপমাত্রা দেশের খুব কম জেলায় রেকর্ড করা হলেও এবার ঠান্ডা ও শীতের অনুভূতি তীব্র। অন্য বছর শীতকালে সাধারণত দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকে, রাতে অনেকটা কমে যায়। চলতি শীত মৌসুমে চিত্র ভিন্ন। দেশের বিভিন্ন জেলায় দিনের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাচ্ছে; আর রাতে তাপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে কম।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এটিও হচ্ছে জলবায়ু পরির্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে একটি কুয়াশাবলয় অবস্থান করছে। সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারছে না। যার কারণে দেশে কয়েকদিন ধরে শীতের অনুভূতি তীব্র। তাপমাত্রা সেভাবে কমেনি। শৈত্যপ্রবাহ বলার মতো অবস্থা নেই। তারপরও ঠান্ডার অনুভূতি বেশ। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। ১ জানুয়ারি থেকে পরিবর্তন হতে পারে।
মমিনুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আমরা লক্ষ করছি। যখনই কোনো কিছু ঘটে, তখন সেটি ‘এক্সট্রিম’ মাত্রায় পৌঁছে যায়। কম সময়ে অনেক বৃষ্টিপাত হতে দেখা গেছে এ বছর। শীতের এই তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনেরই এক ধরনের প্রভাব। এ বছর যতটা তীব্র শীত পড়ছে, ততটা গত কয়েক বছর দেখা যায়নি।