আদর্শিক ঐক্য হয়নি, এটি নির্বাচনী সমঝোতা: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে তিনি বলেছেন, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে তাঁদের কোনো আদর্শিক ঐক্য হয়নি। এটি একটি নির্বাচনী সমঝোতা।
আজ রোববার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। এর আগে বিকেলে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনসিপি তাদের সঙ্গে ১০–দলীয় নির্বাচনী সমঝোতায় থাকছে।
এনসিপির সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে বলে এসেছি, আসন্ন নির্বাচনে আমরা এককভাবে অংশ নিতে চাই, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা চলছিল। সারা দেশ থেকে আমরা আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়ন আহ্বান করেছিলাম। পরে আরও দুটি দলের সঙ্গে (এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) আমাদের রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট একত্রে নির্বাচনে অংশ নেব।’
কিন্তু এরপর শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতবরণ এবং তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনী শক্তি এখনো কার্যকর রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যাদের পরাজিত করেছিলাম, তারা এখনো চক্রান্ত করছে নির্বাচন বানচাল, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য এবং জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য। সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কালকে আপনার গায়ে, পরশু আমার গায়ে লাগবে। প্রথম ও প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে সারা দেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণ, নাগরিক, শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের।’