পিআরএলের চিকিৎসক ‘চালান হাসপাতাল’, নিয়মিতরা অধিকাংশই গরহাজির
নব্বই বছরের বৃদ্ধ জয়তুন। এসেছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে। চোখের ছানি অপারেশন করতে হবে। অশীতিপর এই নারী আবাসিক চিকিৎসকের রুমের সামনে বসে আছেন। সঙ্গে ছেলে নুরুল ইসলাম। চার মাস ধরে ছানি অপারেশনের জন্য ঘুরছেন। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আজ নয়, কাল বলে পেরিয়েছে চার মাস।
নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চার মাস আগে আসছিলাম। ওই সময় দু-তিনদিন ঘুরে সব ধরনের টেস্ট করেছি। তখন বলেছে, সিরিয়াল নেই ডিসেম্বরের ৯ তারিখ আসবেন। সে অনুযায়ী এলাম, আবার সব পরীক্ষা দিয়েছে। এগুলো করে এখন আজ সব রিপোর্ট ও ফিটনেসসহ কাগজ জমা দিয়েছি, দেখি কী করে?’
রাজধানীর ইব্রাহিমপুর থেকে এসেছেন ষাটোর্ধ্ব আলতাফ হোসেন। তারও ডান চোখের ছানি অপারেশন লাগবে। গত ২৫ নভেম্বর টেস্ট করে ফিটনেস কমপ্লিট করেছেন। এখন পর্যন্ত ঘুরছেন ভর্তি ও অপারেশনের জন্য।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জয়তুন ও আলতাফের মতো অন্তত শতাধিক রোগী রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকের (আরএস) রুমের সামনে অপেক্ষা করছেন। এদের সবাই ভর্তি প্রার্থী। এই চিত্র শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনকার।
হাসপাতালের নথি বলছে, এর আগের দিনও একই চিত্র ছিল। বহির্বিভাগে ২ হাজার ২০৮ জন রোগী আসেন। এর মধ্যে মাত্র ৩১ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৮০ রোগী ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- চিকিৎসা সেবা
- চিকিৎসক