ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে ফের উত্তাপ
দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
দুই দেশের রাজনীতিকসহ বিভিন্নজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক তলবের পর গতকাল বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে জুলাই ঐক্যের মিছিল কর্মসূচি এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ সম্পর্কের তিক্ততায় নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারতীয় ভিসার আবেদন কেন্দ্রের (আইভ্যাক) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বলেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যকে গতকাল তিনি নসিহত আখ্যা দিয়ে তা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ‘বন্ধুত্বের শিখরে’ পৌঁছানো দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক নতুন মোড় নেয় গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। সেদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাসহ আরও অনেকে সেখানে গেছেন বলে জানা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে ফেরত চেয়ে ঢাকা অনুরোধ জানালেও নয়াদিল্লি সাড়া দিচ্ছে না। এর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করেছে ভারত। ভিসা কড়াকড়ির কারণে পর্যটনও প্রায় বন্ধ।