বলিউডের ইতিহাসে অনেক গল্পই ট্র্যাজেডিতে মোড়ানো, কিন্তু রাজেশ খান্নার সঙ্গে পর্দা ভাগ করা এক তরুণ অভিনেত্রীর গল্পটি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভয়াবহগুলোর একটি। সম্ভাবনাময় সেই অভিনেত্রীর জীবন ও ক্যারিয়ার ২০১১ সালে থেমে যায়।
কে ছিলেন এই অভিনেত্রী
তিনি ছিলেন লায়লা খান—১৯৭৮ সালে রেশমা প্যাটেল নামে জন্ম নেওয়া এই তরুণী পরে ‘লায়লা খান’ নামেই চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত কাজ ছিল রাজেশ খান্নার সঙ্গে অভিনীত ২০০৮ সালের ‘ওয়াফা: আ ডেডলি লাভ স্টোরি’, যেটি পরিচালনা করেন রাখেশ সায়ন্ত।
চলচ্চিত্রটি প্রকাশের সময় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়—মূলত এর কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ঘিরে। তখন রাজেশ খান্নার বয়স পেরিয়ে গেছে ৬০ আর লায়লা ছিলেন কুড়ির শেষ প্রান্তে। দুজনের প্রায় ২৮ বছরের বয়স ব্যবধান এবং দৃশ্যগুলোর সাহসিকতা দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে নানা আলোচনার জন্ম দেয়। যদিও ছবি ব্যবসাসফল হয়নি, তবে লায়লা খান আলোচনায় আসেন।
তাঁর চলচ্চিত্রজীবন কেমন ছিল
‘ওয়াফা’র পর লায়লা কিছু স্বল্প বাজেটের ছবিতে অভিনয় করেন—‘যব লাভ হুয়া’, ‘তুম হো মেরে দিল কী ধন’, ‘দিল কি তামান্না’—কিন্তু কোনো ছবিই তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। ধীরে ধীরে তিনি আড়ালে চলে যান এবং পর্দায় আর দেখা মেলে না।