এক যুগ্ম সচিবকে গাড়ির মধ্যে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা দাবি চালকের
সরকারের একজন যুগ্ম সচিবকে গাড়ির মধ্যে জিম্মি করে ছয় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন তাঁরই গাড়িচালক। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ওই কর্মকর্তাকে সরকারি গাড়িতে আটকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘোরান তিনি। এক পর্যায়ে ওই যুগ্ম সচিবের কর্মস্থল পরিকল্পনা কমিশনে আসেন। তখন তাঁকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া মাকসুদা হোসেন পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে কর্মরত। গাড়িচালকের নাম আবদুল আউয়াল (৪০)। তিনি দুই মাস ধরে ওই কর্মকর্তার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি বগুড়া জেলায়। এর আগে পরিকল্পনা কমিশনের আরেক যুগ্ম সচিবের গাড়ি চালাতেন তিনি। বিকেলে তাঁকে শেরেবাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
টাকা নেওয়ার জন্য চালক তাঁকে জিম্মি করেছিলেন বলে জানান মাকসুদা হোসেন। ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সকাল সোয়া আটটায় ধানমন্ডির বাসা থেকে গাড়িতে করে তিনি শেরেবাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। চালক আবদুল আউয়াল চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে এসে গাড়ি কমিশনে না নিয়ে বিজয় সরণির দিকে যেতে থাকেন। গাড়ি কেন অন্যদিকে নিচ্ছেন, জানতে চাইলে জবাব দেন না চালক। মহাখালী, বনানী হয়ে বিমানবন্দর সড়কের দিকে গাড়ি চালতে থাকেন তিনি। চালক তাঁকে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছেন সে বিষয়টি নিজের এক সহকর্মীকে জানান মাকসুদা হোসেন।
এক পর্যায়ে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল দিতে গেলে চালক জোর করে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেন বলে জানান যুগ্ম সচিব মাকসুদা। তিনি বলেন, মোবাইল কেড়ে নিয়ে গাড়ির দরজা লক করে দেন। এরপর গাড়ি উত্তরার দিয়াবাড়ি হয়ে বেড়িবাঁধ হয়ে সাভারের হেমায়েতপুরের দিকে চালাতে থাকেন। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে আবার দারুস সালাম হয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেলা ১২টার দিকে পরিকল্পনা কমিশনের সামনে আসেন।