You have reached your daily news limit

Please log in to continue


যুবভারতী কাণ্ডে প্রবল চাপেই ইস্তফা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের

(কলকাতা) প্রবল চাপে নতিস্বীকার করে অবশেষে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি এদিন নিজে বাংলায় লিখে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাতে তিনি লিখেছেন, গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে আনা নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তারজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপনার তদন্তের স্বার্থে ক্রীড়ামন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি। আপনি আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ওই বাংলায় লেখা চিঠির নিচে অবশ্য অরূপ বিশ্বাস কোনও স্বাক্ষর করেননি। শুধু নিচে লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধান্তে’।

অরূপের এই চিঠি প্রকাশ্যে এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আদৌ চিঠি অরূপের লেখা কিনা সেই নিয়ে সংশয় থাকলেও রাজনীতিমহলের অনেকেই মনে করছেন, এটি ক্রীড়ামন্ত্রীরই নিজের হাতে লেখা চিঠি।

গত তিনদিন ধরে ক্রীড়ামন্ত্রীর নানা বিষয় নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে, সেটি তিনি নিতে না পেরেই যে সরে দাঁড়ালেন, অনেকেই সেটি মনে করছে। মেসি শনিবার যুবভারতীতে আসার পরে যেভাবে অরূপ গোটা পরিবার নিয়ে ফুটবল রাজপুত্রের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, সেই নিয়ে কলরব শুরু হয়ে যায়। আরও এক মন্ত্রী সুজিত বসুর দিকেও আঙুল উঠেছিল সেদিনের ঘটনা নিয়ে। কেননা তিনিও বাইপাসের ধারের হোটেলে মেসিকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান করেন। তাঁর টিকিট বিক্রয়ের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল সাইটে।

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য অরূপের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন বলে খবর। তিনি নিজের হাতেই ক্রীড়া দফতরও রেখে দিতে চান। ভাবা গিয়েছিল, ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিকে পূর্ণ মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। মনোজ অবশ্য সোমবারই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মেসিসহ আরও দুই নামী তারকা যেদিন যুবভারতী গিয়েছিলেন, সেদিন তাঁদের উত্যক্ত করা হয়েছিল। তাঁরা বিরক্তি নিয়েই মাঠ ছাড়েন। সেদিন মেসি শো ফ্লপ হওয়ার জন্য যে নেতা, মন্ত্রী ও বাকিরা হাজির ছিলেন, দায় সকলের। তদন্তে সকলের নাম আসা উচিত।

অরূপ বিশ্বাস আরও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে মেসির ছবি ভাইরাল হতেই। তিনি যেভাবে মেসির মতো মহাতারকার কোমর জড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন, সেটি কেউ ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। যেখানে যুবভারতীর মোট ৬৫ হাজার দর্শক মেসিদের চাক্ষুস দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী, নেতাদের হ্যাংলামি কেউ ঠিকমতো নেননি।
শুধু তাই নয়, মন্ত্রীর ভাইয়ের সন্তানদের সঙ্গেও মেসির ছবি তোলা হয়েছে। মাঠে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মাঠে আসা দর্শকরা কী করে মেসিকে দেখবেন, সেই বিষয়ে ভাবাই হয়নি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুলিশের বড় কর্তাদের এই ঘটনায় শোকজও করেছে। সেক্ষেত্রে ক্রীড়ামন্ত্রী ও আয়োজক শতদ্রু দত্তকেও ডাকা হবে। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কিন্তু এসআইআর খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগে সবাই বিস্মিত হয়েছে। ভাবা গিয়েছিল, মেসি কাণ্ড সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার তলিয়ে যাবে। কিন্তু অরূপের ইস্তফাপত্রে আবারও বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন