শীতে বেড়েছে জয়েন্টের ব্যথা, সমাধান মিলবে কিভাবে?
দেশজুড়ে পুরোদমে শীত। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে অনেক মানুষ হাত–পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, জয়েন্ট ব্যথা, পেশিতে টান বা শক্তভাবের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উপসর্গ শীতের স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া; তবে যাদের আগে থেকেই আর্থ্রাইটিস, গেঁটেবাত বা স্নায়ুর সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যথা আরও তীব্র হতে পারে।
ব্যথা কেন শীতে বাড়ে?
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, শীতের সময় শরীর তাপ ধরে রাখতে রক্তনালী সংকুচিত হয়। এতে হাত–পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ফলে পেশি শক্ত হয়ে ব্যথা বাড়ে। জয়েন্টের ভেতরে থাকা সিনোভিয়াল ফ্লুইড বা লুব্রিকেন্টও ঠান্ডায় ঘন হয়ে যায়, যা জয়েন্টের নড়াচড়া কমিয়ে দেয়। এ কারণে হাঁটু, কোমর, আঙুল বা কাঁধে ব্যথা অনুভূত হয়।
শুধু তাই নয়, ঠান্ডায় পেশিতে চাপ বাড়ে এবং স্নায়ুগুলো ব্যথার সিগন্যাল বেশি তীব্রভাবে পাঠায়। তাই আগে থেকেই যাদের আর্থ্রাইটিস বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যা আছে, তাদের ব্যথা দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে।
সমাধানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো— শরীর গরম রাখা। মোজা, গ্লাভস, থার্মাল পোশাক ও মাথা ঢেকে রাখলে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে এবং ব্যথা কমে। ঘরে নিরাপদ দূরত্বে হিটার ব্যবহার বা গরম পানি দিয়ে হাত–পায়ে সেক দেওয়া বেশ কার্যকর।
প্রতিদিন ১০–২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করাও উপকারী। এতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে এবং জয়েন্টের লুব্রিকেন্ট স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি শরীর পর্যাপ্ত পানি না পেলে পেশি শক্ত হয়ে ব্যথা বাড়ে— তাই শীতেও পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- জয়েন্টে ব্যাথা