সবল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান দুর্বল ব্যাংকে আমানত রেখে বিপাকে
জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ কয়েকটি খাতের ১৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা থেকে আহরিত আয় ও মুনাফার একটি অংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মেয়াদি ও চলতি হিসাবে জমা রাখে। এ বছরের জুন শেষে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। যার বড় অংশই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর। এ আমানতের একটি অংশ রয়েছে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এসব দুর্বল প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত আমানত ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬ হাজার ৬১০ কোটি টাকার আমানত রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের। এর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ৪৪৩ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৪৩২, জনতা ব্যাংকে ৪০৩, সিটি ব্যাংকে ৩৯৫, রূপালী ব্যাংকে ৩৭৭, সাউথইস্ট ব্যাংকে ৩৫৪, এবি ব্যাংকে ৩৪৮, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ৩৪৬, অগ্রণী ব্যাংকে ৩৩৬, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ৩২২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ৩১৭, এনসিসি ব্যাংকে ২৭১, ওয়ান ব্যাংকে ২৫৫, বেসিক ব্যাংকে ২১৪, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ২১২, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে ১৯৭, ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৬৮, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১৬৪, ইউনিয়ন ব্যাংকে ১৫৯, ইস্টার্ন ব্যাংকে ১৫৭, যমুনা ব্যাংকে ১২৪, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১০৩, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ৬৬, ঢাকা ব্যাংকে ৬৪, ব্র্যাক ব্যাংকে ৫৯, উত্তরা ব্যাংকে ৫৮, ট্রাস্ট ব্যাংকে ৫৭, মেঘনা ব্যাংকে ৫০, পূবালী ব্যাংকে ৪৪, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ৪০, প্রাইম ব্যাংকে ২৩, এনআরবি ব্যাংকে ২০, সিটি ব্যাংক এনএতে ৮, পদ্মা ব্যাংকে সাড়ে ৭, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ৭, ব্যাংক এশিয়ায় ৬, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ৪ কোটি এবং সোনালী ব্যাংকে প্রায় ২ কোটি টাকার আমানত রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- দুর্বল ব্যাংক