পর্দায় খলনায়ক, বাস্তবে কেমন ছিলেন খলিল
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন খলিল উল্লাহ খান। পর্দায় তাঁকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা গেছে খলনায়কের ভূমিকায়। আজ ৭ ডিসেম্বর তাঁর চলে যাওয়ার দিন। ২০১৪ সালের আজকের দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান এই অভিনেতা। খলিলের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনে।
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবার চাকরিসূত্রে দুই বছর বয়সে সিলেটে চলে আসেন। সেখানেই তাঁর শৈশব কাটে। মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু হয় খলিলের।
খলিল অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’। যদিও এর আগে শুটিং শুরু হয়েছিল ‘প্রীত না জানে রীত’ ছবিটির। প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে খলিল প্রায় ৮০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
খলিলের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘কাজল’, ‘জংলী ফুল, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কহু’, ‘বেগানা’, ‘পুনম কি রাত’, ‘উলঝন’, ‘সমাপ্তি’, ‘তানসেন’, ‘নদের চাঁদ’, ‘মাটির ঘর’, ‘পাগলা রাজা’, ‘অলংকার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যাবদল’, যৌতুক’, ‘সোনার চেয়ে দামী’, ‘বদলা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই’, ‘বিনি সুতোর মালা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘পুনর্মিলন’, ‘কার বউ, ‘বউ কথা কও, দিদার, আওয়াজ, নবাব, দ্বীপ কন্যা ইত্যাদি। নাটকেও নিয়মিত ছিলেন খলিল। ‘সংশপ্তক’ তাঁর অভিনয়জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য নাটক। এ নাটকে তিনি ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা এখনো মানুষের মনে গেঁথে আছে। তিনি বাংলাদেশ আনসারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- খলনায়ক
- প্রয়ান দিবস
- খলিল উল্লাহ খান