যে দুটি পরীক্ষায় উপসর্গহীন কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে
প্রথম আলো
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৮
কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে যেকোনো বয়সেই। এমনকি শিশুরাও ঝুঁকিমুক্ত নয়। তবে তার মানে এমনটাও নয় যে সব বয়সী মানুষকেই কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে নিয়মিত। বরং যাঁদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে কিংবা কোনো উপসর্গ আছে, কেবল তাঁদেরই পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন।
যেসব ক্ষেত্রে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- অতিরিক্ত ওজন
- বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ
- দীর্ঘদিন ধরে প্রস্রাব আটকে যাওয়ার সমস্যা (যেমন প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে এমন সমস্যা হয়)
- হৃদ্রোগ
- লিভার বৈকল্য
- কখনো কিডনিতে পাথর হয়ে থাকলে
- কখনো কিডনির নালি ব্লক (হাইড্রোনেফরোসিস) হয়ে থাকলে
- পরিবারে এমন ধরনের কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে, যার জন্য জিনগত কারণ দায়ী
কখন পরীক্ষা করাবেন
যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি কিংবা যাঁদের কোনো কারণে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি, তাঁদের প্রতিবছর একবার করে কিডনি পরীক্ষা করাতে হয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকায় খানিকটা ব্যতিক্রম কেবল টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের রোগী।
তাঁদের ক্ষেত্রে রোগটা ধরা পড়ার পাঁচ বছর পর থেকে এই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করতে হয়। টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে তখনই শুরু করতে হয় এ পরীক্ষা।