গণহত্যায় সূচিত হলো মুক্তির সংগ্রাম

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০২

‘খাদিম, আজকেই সেই রাত।’ ২৫ মার্চ বেলা ১১টায় মেজর জেনারেল খাদিম হুসেইন রাজাকে ফোনে চার শব্দের এই বার্তা দেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান। প্রায় এক মাস আগে থেকে তৈরি হতে থাকা একটা সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা এভাবেই বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। অভিযানটির নাম ‘অপারেশন সার্চলাইট’।


১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই ‘অপারেশন ব্লিৎজ’ নামে এই অভিযানের কথা প্রথম ভেবেছিলেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান। এর আওতায় সামরিক শাসন জারি করে সামরিক বাহিনীকে ‘বিদ্রোহী’ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে ৫৭ ব্রিগেডকে কোয়েটা থেকে করাচি আনা হয়। সংকেত পাওয়ামাত্র ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে তারা।


৭ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে ঢাকায় আসেন টিক্কা খান। ১৭ মার্চ রাতে খাদিম হুসেইন রাজাকে ফোন করে ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে নিয়ে কমান্ড হাউসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।


আ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওউন কান্ট্রি বইতে খাদিম রাজা লিখেছেন, দুজন সেখানে গিয়ে দেখেন, চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানও উপস্থিত। টিক্কা খান তাঁদের জানান, শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা ভালো এগোচ্ছে না। তাই প্রেসিডেন্ট চান সামরিক পদক্ষেপের জন্য তাঁরা যেন প্রস্তুত থাকেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করে রাখেন। পরদিন সারা সকাল অফিসে বসে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর খসড়া তৈরি করেন খাদিম হুসেইন রাজা এবং রাও ফরমান আলী।


শুরুতেই ঠিক হয়, ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোয় বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তার ও প্রয়োজনে হত্যা আর সামরিক আধা সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে শেখ মুজিবের চলমান শাসনের অবসান ঘটানো হবে। সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকায় অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন রাও ফরমান আলী, আর অন্যান্য অঞ্চলে খাদিম হুসেইন রাজা। সে অনুযায়ী দুজন আলাদা দুটি পরিকল্পনা করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও