কড়াইল বস্তি : দ্রুত খাবার ও গরম কাপড় চান আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা

জাগো নিউজ ২৪ কড়াইল বস্তি প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:১৫

‘সারারাত বাচ্চা দুইটা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ছিলাম। মাঝ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতে জবুথুবু অবস্থায় ছিলাম। গায়ে দেওয়ার মতো একটা কাঁথা বা বিছানাও ছিল না। সকালে রোদ ওঠার পর শরীরটা গরম হয়েছে। কিন্তু বাচ্চা দুইটার সর্দি লেগে গেছে। ওষুধ কিনবো কী করে, পকেটে টাকা নেই। আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এখন নতুন করে ঘর কীভাবে বানাবো, তা ভেবে দিশাহারা হয়ে গেছি।’


বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর কড়াইল বস্তির বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। পরিবারের চার সদস্য নিয়ে থাকতেন কড়াইল বস্তিতে। কিন্তু মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) লাগা আগুনে তার ঘরসহ প্রায় ১৫০০ ঘর পুড়ে গেছে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের সদস্যরা। এ আগুনে বস্তির প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।


কড়াইল বস্তির একটি ভাড়া বাসায় সাত বছর ধরে বাস করতেন বনানীর একটি বিপণিবিতানের কর্মী আবুল খায়ের। যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, ঠিক পাশে তার বাসা ছিল। আগুনে তার বাসার কোনো চিহ্ন নেই। ঘরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।


পুড়ে যাওয়া ঘরের এক কোণে মন খারাপ করে বসে আছেন আবুল খায়ের। সঙ্গে তার স্ত্রী নাসরিন দাঁড়িয়ে আছেন। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না তারা। এক পর্যায়ে আবুল খায়ের বলেন, গতকাল যখন আগুন লাগে, আমি বনানীতে ছিলাম। স্ত্রীও বনানীর একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। সে কাজ শেষ করে বিকেল চারটায় বাসায় যায়। এর কিছু সময় পর বস্তিতে আগুন লাগে। তখন স্ত্রী মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাকে বিষয়টি জানায়। ছুটে গিয়ে দেখি, আমার ঘরেও আগুন জ্বলছে। ঘর থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। আমার সাজানো সংসার এক মুহূর্তে ছাই হয়ে গেল।


এ সময় পাশে থাকা নাসরিন জানান, আগুন লাগার পর দেখি, বস্তির সবাই চারদিকে দৌড়ঝাঁপ করছে। বাচ্চাগুলো চিৎকার করছে। আগুন নেভাতে কোথাও পানির ব্যবস্থা নেই। এমন দৃশ্য দেখে আমি কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ঘর থেকে আসবাবপত্র বের করে কোথায়, কীভাবে নেব ভেবে পাচ্ছিলাম না। কোনো রকমে মোবাইলটা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। পরে স্বামী আসলেও আগুনের কারণে ঘরে ঢুকতে পারেনি। চোখের সামনে সব পুড়ে গেল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও