৪ হাজার ‘সাইবার-ফ্ল্যাশিং’ ঘটেছে যুক্তরাজ্যে: হোম অফিস
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গত বছর থেকে সাইবার-ফ্ল্যাশিং অপরাধ আইনত দণ্ডনীয় হওয়ার পর থেকে প্রায় চার হাজারটি ঘটনা পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে বলে উঠে এসেছে হোম অফিসের নথিতে।
‘সাইবার-ফ্ল্যাশিং’ এমন এক ঘটনা, যেখানে কাউকে ভয় দেখানো, মানহানি বা অস্বস্তিতে ফেলা বা অপমান করতে যৌনাঙ্গের ছবি বা ভিডিও পাঠানো হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট’-এর আওতায় এ ঘটনা নির্দিষ্ট একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ পত্রিকা ইন্ডিপেনডেন্ট।
যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, যেসব সাইবার-ফ্ল্যাশিং ঘটনা মূলত নারী ও মেয়েদের টার্গেট করে ঘটানো সেগুলো ২০২৫ সালে জুনের শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে তিন হাজার ৯৫১টি নথিভুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ প্রায় চার হাজার ঘটনা পুলিশের খাতায় উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের ‘মেট পুলিশ’ সবচেয়ে বেশি সাইবার-ফ্ল্যাশিং ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যার সংখ্যা দুইশো ৬৮টি। তালিকায় এরপর দুইশো ৪০টি সাইবার-ফ্ল্যাশিং ঘটনা নথিভুক্ত করেছে ‘ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ’ এবং একশ ৯২টি করেছে ‘এসেক্স পুলিশ’।
‘সাইবার-ফ্ল্যাশিং’কে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতার অপরাধ হিসেবে ধরা হলেও প্রকাশিত সংখ্যায় কেবল নারীরাই নয়, পুরুষসহ সব ধরনের লিঙ্গের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘটনা হিসাব করেছে হোম অফিস।
‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট’-এর আওতায় কিছু নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেমন– মৃত্যু বা গুরুতর ক্ষতির হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠানো এবং ক্ষতির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যসহ বার্তা পাঠানোর মতো বিষয়।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- সাইবার অপরাধ
- হোম অফিস