যমুনা অয়েল: তেলের ট্যাংক ভরে রেখে হিসাবের খাতায় কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সরকারি ডিপো (যমুনা অয়েল) থেকে পৌনে চার লাখ লিটার ডিজেল গায়েবের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ওই ডিপোর ২২ ও ২৩ নম্বর ট্যাংক রি-ক্যালিব্রেশন (পুনঃপরিমাপ) প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, বছরের পর বছর ধরে ডিজেল চুরির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার ছিল ভুল, অসম্পূর্ণ ও ইচ্ছাকৃতভাবে কমানো ক্যালিব্রেশন শিট। ট্যাংকে যত পরিমাণ তেল ঢালা হতো, হিসাবের খাতায় তার চেয়ে কম দেখানোই ছিল চক্রের নিয়মিত কৌশল।
এ বিষয়ে রি-ক্যালিব্রেশন কমিটির সদস্য যমুনা অয়েলের এজিএম মো. আলমগীর আলম বলেন, ‘রি-ক্যালিব্রেশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সেখানে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।’
যমুনা অয়েল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ফতুল্লা ডিপোর ট্যাংক থেকে তেল গায়েবের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এজিএম ও ম্যানেজার পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও সিপিডিএলের (পাইপলাইন প্রকল্প) প্রকল্প প্রকৌশলী ও পিটিসিএলের (পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি) অপারেশন বিভাগের প্রতিনিধি কমিটিতে রাখা হয়। ক্যালিব্রেশনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এম নুরুল হকের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে কমিটির সদস্যরা ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ফতুল্লা ডিপোতে যান। এরপর দীর্ঘ পর্যালোচনা ও রি-ক্যালিব্রেশন শেষে গত ১৬ অক্টোবর যমুনা অয়েলের জিএমের (অপারেশন) কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। অতি সম্প্রতি প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানাজানি হলে উঠে আসে একের পর এক তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এসব তথ্যে ডিজেল চুরির পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।