সশস্ত্র বাহিনী দিবস : গৌরবের ধারায় অটুট অগ্রযাত্রা

ঢাকা পোষ্ট ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩

২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এই দিন বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস শুধুমাত্র একটি বার্ষিক আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি একটি জাতির আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও স্বাধীনতার প্রতীক।


এই দিনে তিন বাহিনীর সমন্বিত মুক্তিযুদ্ধ–অভিযানের স্মৃতিচিহ্ন আমাদের সামনে নতুন করে উন্মোচিত হয়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যাদের কাঁধে ন্যস্ত, তাদের পেশাদারিত্ব, ঐক্য ও সেবাধর্মিতা স্মরণ করার জন্য দিনটি এক অনন্য সুযোগ।


মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২১ নভেম্বরের তাৎপর্য অনিবার্য। এই দিনেই তিন বাহিনীর সম্মিলিত অভিযান শুরু হয়, যা চূড়ান্ত বিজয়ের পথকে বেগবান করে। স্বাধীনতার পর সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের পুনর্গঠন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মহাযাত্রায় যাত্রা শুরু করে।


সময়ের পরিক্রমায় বাহিনী শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং দেশের উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতির আস্থা অর্জন করেছে।


বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে তাদের স্বচ্ছতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।


জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষে। বিভিন্ন মহাদেশে শান্তি রক্ষা, মানবিক সহায়তা প্রদান, সংঘাত–উত্তর পুনর্গঠন—এসব ক্ষেত্রে বাহিনীর অবদান আন্তর্জাতিক মহলে গভীর প্রশংসা অর্জন করেছে। দেশের শান্তিরক্ষীরা সাহস, সততা ও পেশাদারিত্বের যে নজির তৈরি করেছেন, তা আজ বাংলাদেশের জন্য একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পদ।


Armed Forces Division (AFD) অনুযায়ী, বর্তমানে ৬,৩৫৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ৮টি চলমান মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। নতুন AFD জার্নাল (২০২৫) বলেছে, বর্তমানে ৬,৯২৪ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ১২টি দেশে কাজ করছে। তবে অন্য উৎস বলেছে ২০২৫-এ ৬,০০০-এর মতো বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কাজ করছে প্রায় ১০টি মিশনে।


AFD-এর তথ্য অনুযায়ী, মোট ১,৭১৮ জন নারী (peacekeepers) এখন পর্যন্ত UN মিশনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে ৩৭৩ জন নারী সদস্য বিভিন্ন মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। UN-এর লক্ষ্য হলো ২০২৫-এ Staff Officer ও Military Observer হিসেবে ২২ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ এবং AFD বলেছে তারা প্রায় ১৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারছে।


AFD অনুসারে, বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ৬৩টি UN শান্তি মিশনে কাজ করেছে। ওই হিসেবে প্রায় ৪৩টি দেশ–এ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত ছিল বা আছে। সর্বমোট AFD বলেছে, ১৭৮,৭৪৩ জন সদস্য (সশস্ত্র বাহিনীর) Peacekeeping-এ কাজ করেছে।


AFD-এর ২০২৫ জার্নাল বলেছে, প্রায় ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনে আত্মত্যাগ করেছেন এবং ২৭২ জন আহত হয়েছেন। UN Bangladesh (জাতিসংঘ Bangladesh অফিস) তথ্য অনুসারে, বর্তমানে স্মরণযোগ্য হিসেবে বলা হয়েছে ১৬৮ জন শহীদ এবং ২৬৬ জন আহত। এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থায়ন সংকট।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও