দ্রুত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হোক

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করেন।


সরকারের সব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব দাবির সঙ্গে মিলবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করার অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করি না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা মনে রাখা জরুরি যে দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াটাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মধ্য দিয়ে তার অবসান হওয়া উচিত বলে আমরা আশা করি।


প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে আবারও দ্ব্যর্থহীনভাবে স্পষ্ট করেছেন যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জাতি মহাবিপদের সম্মুখীন হবে। জাতীয় নিরাপত্তা, ভূরাজনীতির হিসাব, অর্থনীতির সচলতা ও বিনিয়োগের মতো জরুরি প্রশ্নগুলো জড়িত থাকায় নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আর কোনো বিকল্প নেই।


প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিএনপি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করায় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের ঘোষণা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি, গণদাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।


রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। কিন্তু সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও গণভোট প্রশ্নে মতভিন্নতা শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপও ছড়ায়। এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার মতভিন্নতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় পৌঁছাতে অন্তর্বর্তী সরকার সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়। দলগুলো তাতে ব্যর্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও