সাম্প্রতিক বাংলাদেশের সমাজ ও রবীন্দ্রনাথ
এখনকার প্রজন্ম কী করে জানি না, কিন্তু আমাদের শৈশবে বাড়ির থেকে অনতিদূরে ছোট নদীর ধারে গেলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠায় একটি আঁকাবাঁকা নদী, পাশে ছোট বাড়ি, কয়েকটি কিশোরের জলকেলির স্থির ছবি। সেই ছবির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতা জীবন্ত হয়ে উঠতো। বিকেলে বা সন্ধ্যায় মায়ের হাত ধরে মধ্যবিত্ত কোনো শিক্ষিত পরিবারে বেড়াতে গিয়ে দেখতাম, মাথাভরা চুল, লম্বা সাদা দাড়িওয়ালা রবীন্দ্রনাথ দেয়ালের ফ্রেমের ভেতর থেকে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছেন আমারই দিকে। শৈশব-কৈশোরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামেও এই মানুষটিই মুখ্য, অপরিহার্য হয়ে উঠতেন। রবীন্দ্রনাথকে নিজেদের করে ধারণ করা শুরু সেখান থেকেই।
দেশকে ভালোবাসার প্রথম পাঠ বা দেশপ্রেম কী তা প্রথম আমরা অনুধাবন করেছি স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ‘আমার সেনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি/ চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি’ গাইতে গাইতে।