নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়লেও সমতা এখনো অনেক দূরে
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢুকলেই চোখে পড়ে এক তীব্র বৈপরীত্য। পার্কিং লটে সারি সারি ঝকঝকে গাড়ি — অধিকাংশই পুরুষ ক্রিকেটার, বোর্ড পরিচালক, কোচ ও কর্মকর্তাদের মালিকানাধীন। তার মধ্যে নারীদের ক্রিকেটারদের গাড়ির উপস্থিতি প্রায় অদৃশ্য। এই দৃশ্যই বাস্তবতাকে এমনভাবে তুলে ধরে, যা কোনো পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি জোরালো।
বেতনের বৈষম্য শুধু বাংলাদেশের নয়, তবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি কার্যকর করেছে। বাংলাদেশে যেখানে পুরুষরা আন্তর্জাতিক ম্যাচপ্রতি ২ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পান, নারীরা পান মাত্র ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা।
বিসিবি যে অগ্রগতি দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয় — কিন্তু এখনো তা আদর্শ নয়। নারীদের ক্রিকেট কমিটির প্রধান ও সাবেক জাতীয় স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তারা 'ধীরে ধীরে ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।'
তবু অনেক খেলোয়াড়ের জন্য বেঁচে থাকাটাই এখনো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় চুক্তি হারানোর পর ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছেন। এক খেলোয়াড় বলেন, তার আয় 'টিকে থাকার জন্য খুব কষ্টের।'
সীমিত ম্যাচ সুযোগ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। তিনি বলেন, 'দেশীয় ক্রিকেটে তো অবস্থা আরও খারাপ — পুরুষরা এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচপ্রতি ৪০,০০০ টাকা পেয়েছে, আমরা গত বছর পেয়েছি ৩,০০০ টাকা।'