আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ২৯৩ কোটি টাকা

প্রথম আলো জয়পুরহাট প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩২

ভালো লাভের আশায় জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এবার হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় উল্টো তাঁরা প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।


এতে জেলায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে গভীর হতাশা দেখা দিয়েছে।


আলু ব্যবসায়ী, কৃষক ও হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলু উৎপাদন থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ২৪-২৫ টাকা। সরকার হিমাগার গেটে প্রতি কেজি আলুর দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে সেই দরে কোনো আলু বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৯-১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতি কেজিতে ১৬ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে।


বর্তমানে হিমাগারে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৫০ বস্তা আলু মজুত আছে। প্রতি বস্তায় গড়ে ৮৫০ টাকা লোকসান ধরা হলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এর আগে হিমাগার গেট থেকে ২০ লাখ ৬৪ হাজার বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে। তখন লোকসান হয় প্রায় ১৭৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা।


ক্ষেতলাল উপজেলার ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আলু উৎপাদন থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ২৪-২৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৯-১০ টাকায়। এতে প্রতি কেজিতে ১৬ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে। আলু আমার তহবিল খেয়ে ফেলেছে।’


কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের আলু ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম আকন্দ বলেন, ‘৪ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছিলাম। এতে আমার ৫৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। আলু বিক্রি করে মাত্র ৫ লাখ টাকা পেয়েছি। আমার প্রায় ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও