কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতার পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো চায় বন্দর
দেশের জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এখন বছরে ৩৩ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছে। ২০৩০ সালে এটা আরও ৪০ লাখ ও ২০৪০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা সবমিলিয়ে দাঁড়াবে এক কোটি ৭ লাখে, যা বর্তমান সক্ষমতার প্রায় চারগুণ।
বাড়তি এ কর্মযজ্ঞ সামলাতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি পর্যন্ত যোগাযোগ কাঠামোকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সহযোগিতা চায় চট্টগ্রাম বন্দর। বিশেষ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সম্প্রতি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। ওই বৈঠকে ২০২৫ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতার ত্রি-পঞ্চবার্ষিকী চিত্র তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। এ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন অর্থাৎ, বছরে ৩৩ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০৪০ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১০ দশমিক ৭ মিলিয়ন অর্থাৎ, এক কোটি ৭ লাখে উপনীত হবে।