রাতারগুল: জলের উপরে প্লাস্টিক, নিচে ‘চায়না দুয়ারি’
পর্যটকদের অসচেতনতা এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সিলেটের জলাবন রাতারগুলের পরিবেশ দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
সেই সঙ্গে রাতের আঁধারে সংরক্ষিত এই জলাধারে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে ধ্বংসের মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এশিয়া মহাদেশের একমাত্র মিঠাপানির ‘জলাবন’ রাতারগুলের সৌন্দর্য আর সমৃদ্ধ জীব-বৈচিত্র্যের টানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক সেখানে ভ্রমণে যান। সিলেট থেকে যাওয়া-আসার সেই রাস্তাটিও অনেক জায়গায় ভাঙা। এ কারণে পর্যটকদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ২০১৫ সালে ‘বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষিত হয়। এরপর থেকে বনবিভাগ এবং স্থানীয় সহব্যবস্থাপনা কমিটি মিলিতভাবে এই জলাবনের সুরক্ষা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে।
সিলেট রাতারগুল বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “পর্যটকদের চাপ যেদিন বেশি থাকে সেদিন অনেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পরিষ্কার করা হয়। এজন্য সবার সচেতন থাকা দরকার।”
প্লাস্টিক দূষণ
গোয়াইনঘাটের মাঝের ঘাট, চৌরঙ্গী ঘাট ও মটর ঘাট থেকে রাতারগুলে প্রবেশ করা যায়। এই পর্যটনকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল, পর্যটকরা ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে জলাবনের ভেতরে প্রবেশ করে ওয়াচ টাওয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। মাঝিরা নৌকার বৈঠা টানছেন। কোনো কোনো মাঝি আবার পর্যটকদের গানও শোনাচ্ছেন। জলে সারি সারি গাছের কাণ্ড ডুবে আছে আর উপরে গাছের ডাল-পাতার ছায়ায় অনন্য দৃশ্য।
তবে পর্যটকবাহী নৌকাগুলোতে ‘ময়লা ফেলার ঝুড়ি’ নেই। পর্যটকরা বনের ভেতরের শুকনো জায়গায় নেমে হাঁটাহাঁটিও করেন। বনের ভেতরে থাকা শুকনো জায়গাতে প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট ভেসে থাকতে দেখা গেল। কোথাও কোথাও করচ-হিজল ও মুর্তা গাছের ডাল-পাতায় আটকে আছে প্লাস্টিকের বোতল।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- প্লাস্টিক দূষণ