উভয়সংকটে বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুপারিশে স্পষ্ট এক রাজনৈতিক টানাপোড়েনে পড়েছে বিএনপি। দলটি গত দুই দিনে কমিশনের কিছু সুপারিশের কড়া সমালোচনা করলেও প্রত্যাখ্যান করার মতো অবস্থান নিতে পারছে না।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা সামনে রেখে সংস্কার বাস্তবায়নের সুপারিশগুলো বিএনপিকে এমন এক বেকায়দায় ফেলেছে—দলটি মেনে নিতে পারছে না, আবার প্রত্যাখ্যানও করতে পারছে না। কারণ, প্রত্যাখ্যান করলে নির্বাচন বানচালের অজুহাত তৈরি হতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিএনপিকে ‘সংস্কারবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ নিতে পারে। আর মেনে নিলে সেটা বিএনপির জন্য রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কমিশনের সুপারিশ নিয়ে গত দুই দিনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির নেতাদের কয়েক দফা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তারা এখনো এ সংকট থেকে বের হওয়ার কৌশল ঠিক করতে পারেনি।
তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এখনই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সংযমী অবস্থান নিয়ে ধীরে ধীরে সরকারের ওপর পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নেওয়ার কথা ভাবছেন। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে বিএনপিকে সংস্কারে ‘বাধা সৃষ্টিকারী’ শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল শিগগির জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ভাবছে। দেখা করে আপত্তির বিষয়গুলো মীমাংসার দাবি জানাবে বিএনপি।
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                