ইগো নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায় জেনে নিন
ইগো আমাদের অভ্যন্তরীণ শান্তি নষ্ট করে। এটি নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে তা আপনার মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তখন সব সময় নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা, সব সময় সবার আলোচনায় থাকতে চাওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে। আপনার কথায় তখন অন্যদের তুচ্ছ করার মতো অপ্রত্যাশিত বিষয়ও উঠে আসতে পারে। তাই নিজেকে বিনয়ী, নম্র ও নির্ভরযোগ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনাকে ইগো বাদ দিয়ে এগোতে হবে। জেনে নিন, ইগো নিয়ন্ত্রণের উপায়-
কোন বিষয়গুলো ইগো বাড়িয়ে দেয়, সেদিকে খেয়াল করুন
ইগো নিয়ন্ত্রণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি কখন বেড়ে যায়। ইগো বেশিরভাগ সময়েই তুলনা, প্রতিরক্ষামূলকতা বা নিজেকে সঠিক প্রমাণের জন্য তৈরি হয়। এই মুহূর্তগুলোতে মনোযোগ দিন। আপনি কোনো মন্তব্যে বিরক্ত হন বা কোনো অর্জনের জন্য অতিরিক্ত গর্বিত হন, আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি। নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারলে ইগো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
শেখার মানসিকতা রাখুন
যখন আমরা মনে করি আমাদের শেখার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই, তখন ইগো তৈরি হয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেকে একজন শিক্ষানবিস মনে করুন। কৌতূহলী হোন, উন্মুক্ত চিন্তাভাবনা করুন এবং ভুল স্বীকার করার মানসিকতা রাখুন। এই চর্চা আপনাকে নিজের সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। যখন সবকিছু থেকে শেখার মানসিকতা থাকবে, তখন ইগো তৈরি হওয়ার ভয় থাকবে না।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ইগো প্রবলেম