দলীয় ‘প্রতিপক্ষ দমনে’ অস্ত্রবাজি
চট্টগ্রাম নগরে যুবদলের দুই পক্ষের মারামারিতে গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. সাজ্জাদ (২২)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস সড়কের বগার বিল মুখ এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশ জানায়, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।
চট্টগ্রামে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের নিজেদের মধ্যে মারামারিতে অস্ত্রবাজির ঘটনা এটা নতুন নয়। এর আগে নগরের খুলশী এলাকায় ব্যানার টাঙানো নিয়ে চলতি বছরের ২১ মার্চ সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ এপ্রিল মো. জিহাদ নামের এক যুবদল কর্মী মারা যান। নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরীফুল ইসলামের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। জিহাদ শাহ আলমের অনুসারী।
নগরের পাশাপাশি রাউজান উপজেলায়ও নিজেদের মধ্যে মারামারিতে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলি ছুড়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার জেলার রাউজানের চারাবটতল এলাকায় আলমগীর আলম নামের এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। এতেও দায়ী করা হয় দলের একটি পক্ষকে। নিহত আলমগীর উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী। অপর পক্ষে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা।
শুধু জেলার রাউজানেই গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৭টি হয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে। এর মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ছয়জনকে।