অকারণে মানুষ আপনাকে আঘাত করে? এর পেছনেও থাকতে পারে এই ৪ কারণ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৯

আপনাকে কোনো কারণ ছাড়াই অনেকে কষ্ট দেয়, অপমান করে, আঘাত করে। ঘটনা ঘটার সময় বা পরবর্তী সময়ে আপনি হয়তো ভাবতে বসেন, আমি কী ভুল করলাম? তবে যাঁরা আপনাকে অকারণে কষ্ট দেয়, তাঁদের এই আচরণের পেছনে অধিকাংশ সময় আপনার কোনো হাত থাকে না। বরং তাঁদের নিজের যন্ত্রণার প্রতিফলন হিসেবেই এমন আচরণ করেন। এই খারাপ ব্যবহারের পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। তার মধ্য থেকে অন্যতম চারটি কারণ সম্পর্কে জেনে রাখুন।


১. মনের ভেতরের ছায়া


প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এমন একটি অংশ আছে, যেখানে লুকিয়ে থাকে রাগ, ভয়, লজ্জা, হিংসা আর অনিরাপত্তা। কেউ কেউ এই অংশকে বোঝেন, মেনে নেন। আবার কেউ ভেতরেই চেপে রাখেন। আর সেই দমন করা আবেগ একসময় ফেটে পড়ে অন্যের প্রতি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে।


কার্ল ইয়ুং এ প্রক্রিয়াকে বলেছিলেন ‘প্রজেকশন’। বাংলায় বললে অভিক্ষেপ। মানে নিজের ভেতরের কষ্ট বা দুর্বলতাকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন অনেকেই। যেমন কেউ নিজের অযোগ্যতা মেনে নিতে না পেরে আরেকজনকে দুর্বল হিসেবে চালিয়ে দেন। এভাবে তিনি নিজের কষ্ট থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু এতে বাস্তব চিত্রটা অকৃত্রিম থাকে না, সম্পর্ক ভাঙে আর অকারণ সংঘাত তৈরি হয়।


২. হিংসা ও ঈর্ষা


হিংসা ও ঈর্ষা এমন অনুভূতি, যা কেউ সহজে স্বীকার করে না। ঈর্ষা মানে যেটা আছে, সেটা হারানোর ভয়; আর হিংসা মানে যা নেই, সেটা অন্যের আছে দেখলে কষ্ট পাওয়া। কেউ যখন প্রতিকূলতার মধ্যেও হাসেন, ইতিবাচক ব্যবহার করেন, তখন অনেকেই সেটা মেনে নিতে পারেন না। তাঁরা তখন ওই ব্যক্তির সমালোচনা করেন, ছোট করেন, আঘাত করেন।


কিন্তু আদতে এমন ব্যক্তিরা আপনার সঙ্গে নয়, নিজেদের অসম্পূর্ণতার সঙ্গে লড়ছেন। হিংসা থেকে জন্ম নিতে পারে ‘শাডেনফ্রয়ডা’। অর্থাৎ পরের দুর্দশায় আনন্দ পাওয়া। এ জন্যই কেউ কেউ অন্যকে কষ্ট দিয়ে তৃপ্তি পান। বিশেষ করে যাঁদের দেখে তাঁরা নিজেকে ছোট মনে করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও