গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন শিশুর অকালজন্মের ঝুঁকি কমায়
প্রিম্যাচিউর বা সময়ের আগে শিশুর জন্ম বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড় কোটি শিশু অকালে জন্মায়। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ সমস্যার পেছনে মায়ের দাঁত ও মুখগহ্বরের খারাপ স্বাস্থ্যের একটি নীরব; কিন্তু কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।
গর্ভকালে নারীদের হরমোন পরিবর্তন হয়। এ কারণে অনেক নারী মাড়ির প্রদাহ ও রক্তক্ষরণে ভোগেন। যদি দাঁতের যত্ন ঠিকমতো নেওয়া না হয়, তবে প্লাক ও টারটার (দাঁতে জমে থাকা পদার্থ) জমে মুখে ক্ষতিকর জীবাণু বৃদ্ধি পায়। এর ফলে জিনজিভাইটিস বা পেরিওডন্টাইটিস (মাড়ির রোগ) দেখা দেয়। এই রোগগুলো থেকে রক্তে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন ও সাইটোকাইন নামক প্রদাহজনিত রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো জরায়ুর সংকোচন বাড়িয়ে সময়ের আগে শিশুর জন্ম ও শিশুর ওজন কম হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।
অকালে জন্মের জটিলতা
শুধু মাড়ির রোগ নয়, দাঁতের ক্যাভিটির মতো সংক্রমণও রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটা থেকে মা ও ভ্রূণের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মায়ের শরীরে প্রদাহ থাকলে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, যা জন্মের পর দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি তৈরি করে।
সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশু শুধু মা নয়, পুরো পরিবারের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। অনেক ক্ষেত্রে নবজাতককে ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। জন্মের পর শিশু শ্বাসকষ্ট, সংক্রমণ ও বিকাশজনিত নানা সমস্যায় ভোগে। এসবের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। পাশাপাশি শিশুর এ ধরনের সমস্যা তার পরিবারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। এসব শিশুর পরবর্তী জীবনেও নানা শারীরিক জটিলতা হতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- প্রিম্যাচিওর বেবি