নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল মেট্রোরেলের
রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চালানো শুরু করা হয়েছিল তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা (অডিট) ছাড়াই। এরপর দুবার ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ার ঘটনা ঘটল।
মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প চালুর আগে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে নিরাপত্তা নিরীক্ষা জরুরি বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বড় প্রকল্প বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শেখ মইনউদ্দিন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পথে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিনে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করে। যদিও তখন যাত্রী নিয়ে চলার আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। নিরাপত্তার নানা বিষয় দেখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা হলে সব ত্রুটিবিচ্যুতি ধরা পড়ত। যেহেতু ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ার ঘটনা দুবার ঘটেছে, তাই এখন নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা উচিত। উল্লেখ্য, বিয়ারিং প্যাড মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথ ও পিলারের মধ্যে সংযোগকারী।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাডে সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছরের আগে সমস্যা হয় না। ঢাকার মেট্রোরেলে এটি খুলে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। তদন্তে কারণ বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্প চালুর আগে এর মান ও নিরাপত্তাব্যবস্থা থরো চেক (বিস্তারিত যাচাই) করার নিয়ম আছে। সেটা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করতে হয়। যদি না হয়ে থাকে, সেটা ঠিক হয়নি।’ শেখ মইনউদ্দিন আরও বলেন, ‘এখন আমরা নিরাপত্তা ও কাজের মান পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণে আলাদা একটি দল গঠন করব।’ মেট্রোরেল রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মেট্রোরেল
- চলাচল শুরু