উইকেট, অধিনায়ক, ব্যাটিং পরিকল্পনা—সবই প্রশ্নের মুখে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০২

কালো মাটির উইকেট, দ্বিতীয় ওয়ানডের সুপার ওভার, মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্ব—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সামনে আসছে একটার পর একটা বিতর্ক। এসবের কারণ হিসেবে জাতীয় দলের সাবেক চার অধিনায়কের দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে চিন্তার ঘাটতি আর ভুল সিদ্ধান্ত—


চাই ভারসাম্যপূর্ণ উইকেট


রকিবুল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক


সব দলই ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী উইকেট তৈরি করে। কিন্তু এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের উইকেটে বল শুরু থেকেই অনেক বেশি টার্ন করেছে। আমি যখন দেশের বাইরে খেলতে যাব, তখন কি এ রকম উইকেট পাব? নিশ্চয়ই পাব না।


প্রতিপক্ষ যে রকম উইকেটে অভ্যস্ত নয়, ঘরের মাঠে সে রকম উইকেট তৈরি করে আমরা তাদের হারালাম, ম্যাচ জিতে বাহবা নিলাম—আমি মনে করি এমন পরিকল্পনার পেছনে নেতিবাচক মানসিকতা কাজ করে। আপনি যখন বাইরে খেলতে যাবেন, সেখানে আপনাকে ভিন্ন উইকেটে খেলতে হবে। ঘরের মাঠে এ রকম উইকেটে খেললে তখন কিন্তু ভালো করা সম্ভব হবে না।


আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ উইকেট তৈরি করতে হব; যেখানে আমরা কিছুটা সুবিধাও নেব, একই সঙ্গে উইকেট এতটা খারাপও হবে না। আমি লড়াই করব, জিতব নয়তো হারব। কিন্তু চতুরতার আশ্রয় নিয়ে যদি নিজেই সেটার ফাঁদে পড়ে যাই, তাহলে কী লাভ হবে?


মিরাজকে আরও সময় দিতে হবে


মিনহাজুল আবেদীন, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলেছি, এটা নতুন অভিজ্ঞতা। তবে আমি বলব দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হওয়া সুপার ওভারে টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটসম্যান নির্বাচনে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সুপার ওভারে আমরা ১০ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে রেখেছিলাম। খুব কঠিন লক্ষ্য ছিল না, তবু আমরা জিততে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।


মিরাজের অধিনায়কত্ব নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। তবে আমি বলব অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্স মূল্যায়নের এখনো সময় আসেনি। আরও ৫-৬টা সিরিজ গেলে বোঝা যাবে সে আসলেই চাপ নিতে পারছে কি না। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে পুরো দায়িত্ব নিয়ে এটা মিরাজের মাত্র দ্বিতীয় সিরিজ। তাঁকে আরও সময় দিতে হবে।


মিরাজের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে, তিন সংস্করণেই অনেক দিন ধরে খেলছে। অনূর্ধ্ব-১৯-এ অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। দল না জিতলে যে চাপটা আসে, সেটি সামলে সামনের সিরিজটা কেমন খেলে, এখন এটাই দেখার বিষয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও