সংকট ঘনীভূত হচ্ছে

যুগান্তর মনজুর কাদের প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৭

গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা শহরে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক বড় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এগুলো ‘নাশকতা’ (স্যাবোটাজ) কিনা উদ্বেগের সঙ্গে সে প্রশ্ন এখন করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৪ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ী এলাকায় পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনে ১৬ জন নিহত হন। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় ১৬ অক্টোবর ১৬ কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সাত তলার পুরো ভবনটিই জ্বলতে থাকে এবং সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। ১৮ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় আমদানি করা যত পণ্য ছিল সব আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে।


রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পরপর তিনটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পর সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার আশঙ্কা রয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশকে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


সাম্প্রতিককালে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত


গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং প্রায় দেড়শ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই ছিল শিশু, আহত ৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্ধারকাজে নিজেকে নিয়োজিত করে কলেজশিক্ষক মৃত্যুবরণ করেন। উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে বলে দাবি করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বিবৃতি দেয়।


চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার ৬ মাস আগের ঘটনা


আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং আহত হন শতাধিক। হামলার পেছনে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ ছিল বলে প্রচার করা হয়।


চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরের ঘটনা


বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০৩ সালে) জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) নামের দুটি জঙ্গি সংগঠন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় হয়। জোট সরকার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। তথাপি ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেট হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা হলে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হন এবং আহত হন ৭০ জনেরও বেশি। অভিযোগ করা হয় হুজি-বি জঙ্গিরা এতে জড়িত ছিল।


ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হামলা হলে ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন ৫০০ জনেরও বেশি। হামলায় ব্যবহৃত হয় সামরিক গ্রেডের গ্রেনেড। হুজি-বি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী একযোগে ৬৩ জেলায় প্রায় ৫০০টি ছোট বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এর দায় স্বীকার করে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। তাদের বার্তা ছিল ‘আমরা ইসলামি রাষ্ট্র চাই’। চারদলীয় জোট সরকারের শেষদিকে (২০০৬ সালে) জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম (বাংলাভাই) প্রমুখকে আটক করা হয়। কিন্তু একই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা, জোট সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় আন্দোলন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পায়।


যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১-এর ঘটনা


যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১-এর ঘটনার পর আধিপত্যবাদী ভারত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার বসিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করে। চারদলীয় জোটের নেতাকর্মীরা এক অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে পড়েন। এমনকি অনেকের পরিবার-পরিজন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও