মৌসুমি নয়, ডেঙ্গু এখন দীর্ঘস্থায়ী জাতীয় সংকট

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৫

ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগের সীমানা ছাড়িয়ে দীর্ঘস্থায়ী এক জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। সরকারি হিসেবে আক্রান্ত ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ, মৃত প্রায় আড়াইশ। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সংখ্যা বাস্তবে আরও অনেক বেশি। প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আমাদের নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। বিষয়টিকে আমাদের ‘জাতীয় ব্যর্থতা’ হিসেবে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তার মতে, ‘আমাদের ব্যর্থতা শুধু স্বাস্থ্য খাতে নয়, এটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও অর্থনীতির দুর্বলতারও প্রতিফলন।’


সম্প্রতি ঢাকা পোস্টকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কেন ডেঙ্গু আমাদের জাতীয় ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। এটি কীভাবে একটি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতা হ্রাস করছে এবং কেন সিটি কর্পোরেশনের ‘আইওয়াশ’ কার্যক্রম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রভাব ফেলছে না। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তানভীরুল ইসলাম। 


চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? পরিস্থিতি কি আগের বছরের তুলনায় খারাপ হয়েছে?


ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ : সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গু ডাইনামিক ড্যাশবোর্ডে এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজার ২৮০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ২৪৩ জন মারা গেছেন। কিন্তু এটি চূড়ান্ত বা সঠিক সংখ্যা নয়। কারণ, সরকারি হিসাবে সব হাসপাতালের তথ্য আসে না, আবার সরকারি তালিকাভুক্ত হাসপাতালের বাইরেও অসংখ্য কেস রয়েছে। তাই ধারণা করা যায়, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। এই অবস্থায় বলা যায়, চলতি বছরের ডেঙ্গু সংকট নিঃসন্দেহে গভীর।


কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গুতে মৃত্যু সমাজ ও অর্থনীতিতে কোন ধরনের প্রভাব ফেলছে?


ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ : ডেটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আক্রান্তদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের নিচে। অর্থাৎ তারা কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে শিশু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। একটি শিশু মারা গেলে সেটি শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজের জন্য এক দীর্ঘস্থায়ী মানসিক আঘাত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও