নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৩১

নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী একভাগ নিয়েছে, বিএনপি এক ভাগ নিয়েছে ও জামায়াতে ইসলামী এক ভাগ নিয়েছে। কিন্তু এনসিপি নির্বাচন কমিশনকে জনগণের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়।


আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। বেলা ১১টার দিকে ইসি সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম বৈঠক করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।


বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিবের কার্যালয়ের সামনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের এই গণ–অভ্যুত্থানটা যে হলো এখানে কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেকগুলো অ্যাসেট (সম্পদ) তারা রেখে চলে গিয়েছিল। এবং এই নির্বাচন কমিশনটাও ১৫ বছর তারা নিজেদের মতন সাজিয়েছিল। এই যে তারা এই গণিমতের মালগুলা রেখে গিয়েছিল সেই গণিমতের মাল উপদেষ্টা, বিএনপি, জামাত—সবাই এই গণিমতের মালগুলা ভাগ করে নিয়েছে। এবং এই রাষ্ট্রের বর্তমান যা অবস্থা এই ইলেকশন কমিশনও তারা গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করেছে। আর্মি এক ভাগ নিয়েছে, বিএনপি একভাগ নিয়েছে, জামাত একভাগ নিয়েছে। কিন্তু আমরা তো জনগণের একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই নির্বাচন কমিশনকে দেখতে চাই।’


ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান নির্বাচন কারচুপি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটা (নির্বাচন কমিশন) ধ্বংসের অন্যতম কারিগর ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন এই এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যেই গুমের ঘটনায় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে যারা কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তাদেরকে বিষয়গুলো আদালতের পর্যবেক্ষণে এসেছে এবং সেখানে তারা গৃহবন্দি হয়েছে।'


একইসঙ্গে যারা গত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশনে এ সব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও