
জামায়াত-এনসিপির পথে হঠাৎ যেন ভিন্ন বাঁক
জুলাই অভ্যুত্থানের পর মাঠের বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবিদাওয়া আদায়ের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মোটামুটি একই পথে হাঁটছিল বলে মনে হচ্ছিল। রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে অনেক ক্ষেত্রেই সহাবস্থান নিচ্ছিল দল দুটি। কিন্তু জুলাই জাতীয় সনদ যেন দুই দলকে দুই পথে নিয়ে গেল। জামায়াত সনদে স্বাক্ষর করল। স্বাক্ষর করল না এনসিপি।
জামায়াত ও এনসিপি উভয়েই শুরুতে জানিয়েছিল, তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া এতে স্বাক্ষর করবে না। গত শুক্রবার সনদ স্বাক্ষরের আগের দিন বৃহস্পতিবার এনসিপি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের এই অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়। সেদিনও জামায়াত বলেছে, তারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে, কিন্তু সনদে স্বাক্ষর করবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে দেখা গেলে, জামায়াতের নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন এবং সনদে স্বাক্ষর করলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জামায়াতের এই পদক্ষেপকে ‘বেইমানি’ বলে অভিহিত করেছেন।
শুক্রবারই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কাগজে সই করছে। আর গতকাল শনিবার এনসিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গতকালকের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল, গতকালকে যে প্রক্রিয়ায় স্বাক্ষর করেছে, গণ-অভ্যুত্থান থেকে এবং জনগণ থেকে তারা ছিটকে গিয়েছে।’
এনসিপির প্রধানের দুই দিনের বক্তব্যই যে জামায়াতকে ইঙ্গিত করে, তা ধারণা করছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, দুই দলের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে দল দুটির জোটবদ্ধ হওয়ার যে আলোচনা রাজনীতির ময়দানে ছিল, তা-ও মনে হয় হোঁচট খেল।