
বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন: সবই পুড়ল অবহেলায়? ক্ষতিপূরণের কী হবে?
ছোট্ট একটু আগুন, রূপ নিল ভয়াবহতায়; সাত ঘণ্টা ধরে জ্বলার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হল ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। তবে এর আগেই দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালালের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের গুদামে রাখা পণ্যের বেশির ভাগই পুড়ল।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এমন স্থাপনায় শনিবার দুপুরের দিকে শুরু হওয়া আগুন এত সময় ধরে জ্বলার পরও নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এসব পণ্য আমদানির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অথচ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপন মহড়া হয়। ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে সেটিতে আগুন লাগানোর পর ছুটে আসেন বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটের অত্যাধুনিক ‘এয়ারপোর্ট ক্রাশ টেন্ডারগুলো’।
ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও ছোটাছুটি করে আগুন নিভিয়ে বেশ বাহবা কুড়ান। কিন্তু বাস্তবে যেদিন বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে লাগা আগুনের শিখা বাড়তে বাড়তে লেলিহান হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকল তখন ফায়ার সার্ভিসের সেই তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
আর মাত্র ছয় দিন আগে ১২ অক্টোবর দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রক ও পরিচালনাকারী সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি) শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো শাখার অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়ন করে শতভাগ নম্বর দিয়েছে। সংস্থাটির তরফে এটিকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখানো হয়।
এর এক সপ্তাহ না গড়াতেই ভয়াবহ এ আগুন ওই সাফল্যের সঙ্গে বিমানবন্দরের ভাবমূর্তিতেও ধস নামিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই ‘ঢাকা বিমানবন্দরে আগুনের কারণে ফ্লাইট বিপর্যয়ের’ খবরটি দিয়েছে।