You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নির্বাচনের পথযাত্রায় স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, পবিত্র রমজানের আগে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়। যদিও দেশে-বিদেশে নির্বাচন নিয়ে ভিন্নতর জল্পনাও আছে। বিশেষ করে প্রবাসী কয়েকজন ইউটিউবার নানাভাবে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে নিশ্চিত নির্বাচনের বিষয়ে জনপরিসরে একটি সংশয় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এই কথাটি সত্য যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথযাত্রায়, আগামী চার মাসে অনেকগুলো স্পর্শকাতর ইস্যুর মীমাংসা হতে হবে। তাহলেই কেবল নিশ্চিত নির্বাচনের বিষয়ে মানুষের মনে আস্থা সৃষ্টি হতে পারে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নয়ন অপরিহার্য। কিন্তু সে বিষয়টি এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবেই আছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও একাধিকবার সে কথা বলা হয়েছে। তবে এখানে যে স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো অন্যতর কিছু। প্রধানত রাজনৈতিক ইস্যু।

এর মধ্যে প্রথমেই বলা যায় জুলাই সনদের প্রসঙ্গ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের সবাই তো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল না। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের স্ট্রাইকিং ফোর্স ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে সনদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থাই প্রকাশ করেছে। ফলে এই প্রশ্ন ওঠা খুবই সংগত যে এই সনদ জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে পারল কি না এবং ভবিষ্যতে এই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব কি না? আরও একটু বৃহত্তর পরিসরে ভাবতে গেলে দেখা যায়, আরও অনেক জনসমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল সনদ স্বাক্ষর এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

তার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শরিক অন্যান্য দলের কথা বাদ দিলেও জাতীয় পার্টি এবং আরও কিছু দলের কথা বলা যায়। যেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোকেই এই সনদ একসূত্রে গ্রথিত করতে পারল না, সেখানে ভবিষ্যতে এই সনদ এসব দলকে কীভাবে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হবে? অবশ্য অনেকে ভাবতে পারেন বা অনেকের পরিকল্পনাও থাকতে পারে যে ওইসব দল আর কখনোই দেশের রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। কিংবা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এই ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

দ্বিতীয় ইস্যুটি হলো নির্বাচনের ধরন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে—সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নাকি প্রচলিত পদ্ধতিতে। নির্বাচনের মাধ্যমে যে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে, তা কি এক কক্ষবিশিষ্ট নাকি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হলে উচ্চকক্ষে কি পিআর পদ্ধতিতে সদস্য নিয়োগ হবে, নাকি প্রচলিত যে পদ্ধতিতে নারী সংসদ সদস্য নিয়োগ করা হয় সেই পদ্ধতিতে হবে? এসব বিষয় কিন্তু এখন পর্যন্ত ফয়সালা হয়নি। এ রকম আরও কয়েকটি বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়া রয়েছে। এই নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে রাখা বিষয়গুলোর মীমাংসা কীভাবে করা হবে? পরবর্তী সংসদ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে করবে, নাকি অন্য কোনোভাবে?

তৃতীয় যে ইস্যুটির ফয়সালা হয়নি তা হলো গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদা আলাদাভাবে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হবে, নাকি একই দিনে দুটি আলাদা ব্যালটে হবে। জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারণাকে ‘উদ্ভট’ বলে অভিহিত করেছেন। অথচ বিএনপি চায় একই দিনে দুটি নির্বাচন। এনসিপিরও তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জামায়াতের ঘোর আপত্তি আছে। তারা নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবিতে দৃঢ় এবং অনড় অবস্থান নিয়ে আছে। সংলাপে অংশ নেওয়া কোনো কোনো দল জামায়াতের দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। কোনো কোনো দল বিএনপি-এনসিপির প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এসব প্রশ্নের ফয়সালা হওয়া দরকার। কিন্তু তার সম্ভাবনা কতটা!

আরেকটি ইস্যু হলো, আগামী জাতীয় নির্বাচন কি অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) হবে, নাকি অংশগ্রহণমূলক (পার্টিসিপেটরি) হবে? আওয়ামী লীগের দাবি, তাদের অধীনে সব নির্বাচনই ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক। কারণ ওই সব নির্বাচনের কোনো দলকেই জোরপূর্বক নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তবে তাদের অধীনে সব নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। কারণ, বিএনপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কারণ, বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের দাবি ছিল, তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সবশেষ তারা ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ কারণে অংশগ্রহণ করেনি। তবে প্রশ্ন হলো, আগামী নির্বাচনে কি জোরপূর্বক কোনো দলকে বাদ দেওয়া হবে? নাকি যেকোনো দল ইচ্ছা করলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে? যদি জোর করে কোনো কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচন কি সর্বজনীন হিসেবে স্বীকৃত হবে? বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে?

এনসিপির কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক (শাপলা) বরাদ্দ করা না-করাও একটি ইস্যু। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এনসিপি একটি প্রতীক চেয়েছে আর নির্বাচন কমিশন সেটি বরাদ্দ না করার বা করতে না পারার কথা বলেছে, এটা যেন এনসিপি কোনোভাবেই মানতে পারছে না। তাই নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দসংক্রান্ত আইনকানুন, আরপিও সংশোধন প্রভৃতি যা কিছুই বলুক না কেন, এনসিপির অবস্থান অনড়। শাপলা প্রতীক তাদের দিতেই হবে। এটি একটি ছোট বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনী পথযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন