
চাকসুতে ৩৫ বছর পর ভোট আজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ ৩৫ বছর পর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়।
নির্বাচন না হওয়ায় এত দিন ক্যাম্পাস ক্ষমতাসীন দল অথবা প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ছাত্রসংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করার বদলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ও সংঘর্ষে লিপ্ত থাকত। হল নিয়ন্ত্রণ করে আসন বণ্টন করত তারা।
অন্যদিকে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের আবাসনসংকট, খাবারের নিম্নমান ও পরিবহনসংকটের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশে যেতে হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ক্যাম্পাসে মারামারি ও খুনের ঘটনা ঘটত প্রায়ই।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের নির্বাচন আয়োজন শুরু হয়। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বেশির ভাগ পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল। আজ চাকসুর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন।
৫৯ বছরে ৬ বার নির্বাচন
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার অদূরে হাটহাজারী উপজেলার গা ঘেঁষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ১৯৬৬ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। একই সময়ে গঠন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।
মূলত শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বেগবান করা, নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে চালু হয় চাকসু। কিন্তু নিয়মিত ভোট না হওয়ায় এসবের কিছুই হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫৯ বছরে মোট ছয়বার নির্বাচন হয়েছে চাকসুর—১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১ ও ১৯৯০ সালে। চাকসুর প্রথম নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হন যথাক্রমে মো. ইব্রাহিম ও মো. আবদুর রব। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
- ট্যাগ:
- রাজনীতি
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন