পৃথিবীর দিকে তাকালে, বিভিন্ন দেশে শুধু রক্তক্ষরণ দেখা যায়। যুদ্ধ, সংঘাত আর ক্ষমতার উন্মত্ত লড়াইয়ে জর্জরিত আমাদের পৃথিবী। ইউক্রেন-রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ এশিয়া সর্বত্র শুধু ধ্বংসের প্রতিধ্বনি। বর্তমান আলোচনা শুধু সংঘাতগুলোর সামরিক কৌশলের ওপর নয়, বরং যুদ্ধগুলোর মূলে থাকা গভীরতর মানবিক সংকটের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। আমরা দেখতে পাই, প্রতিটি যুদ্ধের মূলে ‘ক্ষমতার লড়াই’ ও ‘আধিপত্যের দলীয় রাজনীতি’।
সেখানে প্রকৃত অর্থে কোনো সভ্য মানুষ নেতৃত্ব দিচ্ছে না। এটি এমন এক সত্তা যা দেখতে মানুষের মতো, অথচ মানুষ নয়। এই নেতৃত্ব হলো ক্ষমতার গাণিতিক সমীকরণ, যেখানে মানুষের মূল্য শুধু এক নগণ্য জীবিত সত্তার। এটি মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত অবক্ষয়। এমন সত্তার মূল লক্ষ্য হলো দখল, নিয়ন্ত্রণ এবং স্বার্থসিদ্ধি। কোনোভাবেই মানবতার কল্যাণ নয়। এমন মানব-সদৃশ নেতৃত্বের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য হলো চরম আত্মকেন্দ্রিকতা ও সহমর্মিতার অভাব। যখন কোনো শাসকগোষ্ঠী বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্য নির্ধারণ করে এবং সেই সিদ্ধান্তে কোটি মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়, তখন বুঝতে হবে সেখানে মানবিক বিচারবুদ্ধির পরিবর্তে শুধু শীতল, যান্ত্রিক রাজনৈতিক কৌশল কাজ করছে। যুদ্ধকালীন পরিসংখ্যানগুলো এই নির্মমতা বহন করে।