
বন্দরে মাশুল বৃদ্ধি: আমদানি-রপ্তানিতে নতুন চাপ
অর্থনীতি যখন টালমাটাল, ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার লড়াইয়ে, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দর বাড়িয়েছে মাশুল। ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন হার। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই ২১টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডক বাড়িয়েছে নিজেদের চার্জ। শিপিং এজেন্টরা এখন সেই বাড়তি খরচ আমদানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে বাজারে পণ্যমূল্য আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। ফলে এখানকার যেকোনো খরচ বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পুরো অর্থনীতিতে পড়ে। কিন্তু এখন যেন সবাই চার্জ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এতে বিপদে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা, আর শেষ পর্যন্ত এর সব চাপ গিয়ে পড়বে ভোক্তার ঘাড়ে।
তথ্যমতে, বন্দরের ট্যারিফ মূলত ডলারে নির্ধারিত হলেও পরিশোধ হয় টাকায়। একসময় এক ডলার ছিল ৩০ টাকা, এখন তা ১২০ টাকার বেশি, অর্থাৎ খরচ ৪ গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি আগে যেখানে ৩৮ ধরনের পণ্য অফডকগুলো হ্যান্ডল করত, এখন সেই সংখ্যা ৬৫।
সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ব্যবসা যখন বাড়ছে, তখন বাড়তি চার্জের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এতে শুধু আমদানি-রপ্তানি খরচ নয়, জীবনযাত্রার ব্যয়ও আরও বেড়ে যাবে। তিনি জানান, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিকডাকে (বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিক সমিতি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এতে সমাধান না এলে বাধ্য হয়েই এজেন্টরা সেই বাড়তি খরচ আমদানিকারকদের কাছ থেকে আদায় করবে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- মাশুল
- ট্যারিফ