
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: দলগুলোর ভেতরে প্রার্থী বাছাইয়ে তোড়জোড়
চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো। নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেলেই ঘোষণা করতে হবে প্রার্থী তালিকা। তার আগে তাই দলগুলোর মনোযোগ এখন চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাইয়ে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ সংগঠক, আন্দোলনে ভূমিকা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নবীন-প্রবীণের মিশেলে নতুন চমক নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায় বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রার্থী চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে খুব শিগগির দলটির মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি, তা নিয়ে জোর দিয়ে এখনো কিছু বলছেন না দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে তৃণমূলের মতামত, নিরপেক্ষ জনমত যাচাই এবং প্রত্যাশীদের তথ্যাদি পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মনোনয়ন কখন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেক আগেই নিজ নিজ জায়গা থেকে তৎপরতা শুরু করেছেন দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মনোনয়ন আদায়ের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কোন্দল ও বিবাদেও জড়িয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলাদলি এবং একে ঘিরে কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থার দ্রুত অবসান চেয়ে এরই মধ্যে তৃণমূল থেকে বারবার বার্তা যাচ্ছে কেন্দ্রে।