
‘বান হইলেও কষ্ট, পানি নামি গেইলেও কষ্ট’
তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরের চার জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারীর তিস্তাপাড়ের বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে।
বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। সরকারি রাস্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধসহ নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন বাড়িতে ফিরেছেন।
তবে বন্যাদুর্গতদের কষ্ট কমেনি। অনেকের বাড়িতে এখনো বন্যার পানি থাকায় তারা বাঁধের ওপর পলিথিন মোড়ানো ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হরিণচড়া এলাকার ৬৫ বছর বয়সী বানভাসি আকলিমা বেওয়া বলছিলেন, 'কষ্টের শ্যাষ নাই। বান হইলেও কষ্ট আর বানের পানি নামি গেইলেও কষ্ট। বাড়ি থাকি বানের পানি নামি গেইছে। এ্যালাং হামার কষ্ট আছে। ঘরোত খাবার নাই।'
'বানের পানি নামি গেইল, এ্যালা ফির শুরু হইবে নদী ভাঙন। যেইকনা জমি আছে, তাকো নদীত ভাঙি যাইবে। বাস্তুভিটাও ভাঙি যাই,' তিনি বলেন।