গ্রিন ইয়ার্ডেই সম্ভাবনার হাতছানি

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৪৬

একসময় বৈশ্বিক ভাঙা জাহাজের ৩০ শতাংশ কাজই হতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে। সেখানে দেখা মিলত তীরে ভেড়ানো মহাশক্তিশালী অসংখ্য জাহাজ, যেগুলোর বুকে উঠে শত শত শ্রমিক দিনরাত ইস্পাত টুকরা টুকরা করছেন। টনকে টন লোহার গর্জন, গ্যাস কাটারের ঝলকানি, রডভর্তি ট্রাকের দীর্ঘ সারি—সব মিলিয়ে সাগরের কিনার জুড়ে যেন জাহাজভাঙা শিল্পের অন্য রকম কোলাহল। আজ সেই ইয়ার্ডগুলো একে একে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে। কারণ, সমালোচনার বাইরে ছিল না এই খাত। পরিবেশদূষণ, শ্রম শোষণ এবং দুর্ঘটনার কারণে বারবার আলোচনায় এসেছে। এখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানামুখী সংকট এবং চাপের মুখে সেখানে পতনের চিত্র প্রকট। বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক ইয়ার্ড, কমে গেছে খাতটির ব্যবসার পরিধি এবং বেকার হয়েছে প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক। তবু এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কিছু উদ্যোক্তা ব্যবসার নিয়ম মেনে টিকে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। ঝুঁকিমুক্ত, সবুজ বিনিয়োগে হাত বাড়িয়েছেন। মন্দার মাঝেও পরিবেশবান্ধব জাহাজভাঙা শিল্পে ‘গ্রিন ইয়ার্ড’ উদ্যোগ নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।


বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট, অর্থনৈতিক মন্দা, পরিবেশদূষণসহ নানা কারণে সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা শিল্পের আগের রমরমা দিনগুলো আর নেই। কাঁচামাল আমদানিতে ডলার সংকটের কারণে অনেক ইয়ার্ড বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে নিবন্ধিত ইয়ার্ডের সংখ্যা মাত্র ৮১; এগুলোর মধ্যে ২০-২৫টি সক্রিয় থাকলেও গ্রিনে রূপান্তর হওয়া ইয়ার্ডের সংখ্যা ১৭। আশার দিক হচ্ছে, শতভাগ গ্রিন ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটা হলে পরিবেশদূষণ ও মানুষের প্রাণ-অঙ্গহানির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।


গত কয়েক বছরে শতাধিক ইয়ার্ডের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এই খাত ঘিরে গড়ে ওঠা ব্যবসার পরিধিও কমে গেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেআর গ্রুপের চেয়ারম্যান সেকান্দার হোসেন টিংকু বলেন, একটি ইয়ার্ডে গড়ে কমপক্ষে ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। গত ১০-১২ বছরে বন্ধ হওয়া প্রায় ১৪০টি কারখানার কমপক্ষে অর্ধলাখ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও