সিরিজ জিতলেও আড়াল হচ্ছে না ডিআরএস ব্যবহারের অপরিপক্বতা

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪১

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক পুরনো সমস্যা—ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ব্যবহারে অবিবেচকতা।


দুই ম্যাচেই দেখা গেছে ব্যাটিংয়ে মনোযোগের ঘাটতির পাশাপাশি ডিআরএস অপব্যবহার করে আফগানিস্তানকে একের পর এক সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, যা দলকে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিতে ফেলেছে।


বিশেষ করে প্রথম ম্যাচটি ছিল প্রযুক্তি ব্যবহারে কীভাবে ভুল করা যায় তার এক নিখুঁত উদাহরণ। ১৫২ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ১২তম ওভারে বিনা উইকেটে ১০৯ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ, তখন ফারিদ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। খালি চোখেই মনে হচ্ছিলো তিনি একদম প্লাম্ব এলবিডব্লিউ। তবু কেন তিনি সেটা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বোঝা মুশকিল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, তিনটি "রেড"—অর্থাৎ সিদ্ধান্ত একেবারেই পরিষ্কার।


কয়েক ওভার পর, যখন এক ঝটকায় হারিয়ে যায় বাংলাদেশের টপ অর্ডার, আসে সিরিজের সবচেয়ে অবাক করা মুহূর্ত। রশিদ খানের মুখোমুখি হয়ে শামীম হোসেন পেছনে সরে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন একদম সোজা বলে। পরিস্কারই বোঝা যায় এলবিডব্লিউ। এই সিদ্ধান্তও চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ হারান তিনি।  তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৩৫ রান ৩২ বলে, হাতে ছিল পাঁচ উইকেট, আর ক্রিজে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান—অর্থাৎ রিভিউ নিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার কোনো কারণই ছিল না। মজার কথা হলো রিভিউ নিয়েও অপেক্ষায় ছিলেন না শামীম, বুঝতে পারছিলেন তিনি আউট। রিপ্লে চলাকালীন সময়েই অর্ধেকটা ডাগআউটের পথে হাঁটছিলেন—যা সিদ্ধান্তটিকে আরও রহস্যময় করে তোলে।


ফল যা হওয়ার তাই হলো—বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেল, বল সোজা গিয়ে লাগত মিডল ও লেগ স্টাম্পে। শূন্য রানে ফেরেন শামীম, আর দল হারায় শেষ রিভিউটিও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও