
কেন শাপলাই চায়, ব্যাখ্যা দিল এনসিপি
দলীয় প্রতীক হিসেবে কেন ‘শাপলা’ চাওয়া হচ্ছে, তার একটি ব্যাখ্যা হাজির করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপি।
শুক্রবার দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নামে প্রকাশ হওয়া প্রায় ১৩০০ শব্দের ব্যাখ্যাটি নিজেদের ফেইসবুক পেইজে শেয়ার করছেন এনসিপির একাধিক নেতা।
মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের ফেইসবুকে ওই পোস্ট দেখা গেছে।
ব্যাখ্যায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দলটির নেতাদের সময়ে সময়ে বৈঠক ও যোগাযোগের সূত্র তুলে ধরা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশনের তালিকায় প্রতীক যুক্ত করতে কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। কমিটির একজন সদস্যের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি চূড়ান্ত তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক থাকার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন।”
ব্যাখ্যায় বলা হয়, গত ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করে এবং ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের আবেদন জানায়।
দেশের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ‘শাপলা’ এনসিপির সুপরিচিত প্রতীক হয়ে উঠেছে দাবি করে নাহিদ বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, হঠাৎ করে গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমের খবরে এনসিপি জানতে পারে যে, নির্বাচন কমিশন শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘শাপলা’ জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচনের প্রতীক হিসেবে এটি বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানায় নির্বাচন কমিশন।”
গত ১৩ জুলাই এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করে। বৈঠকের আলোচনায় এবং পরে একটি লিখিত আবেদনে এনসিপি জানায়, “শাপলাকে জাতীয় প্রতীক উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইনানুগভাবে সঠিক নয় এবং এই বিষয়ে কমিশনের গৃহীত অবস্থানের আইনি ভিত্তি নেই।”