
ধ্রুপদি চলচ্চিত্র নিয়ে দূরপাল্লার দৌড়
নতুন চলচ্চিত্র দেখা মানেই আপনি ঝুঁকি নিয়ে ছবিটি দেখছেন। এটা ঠিক, লোকমুখে, পত্রপত্রিকায়, এমনকি নানামুখী প্রচারে হয়তো একটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে আপনার পূর্বধারণা হচ্ছে, কিন্তু গোটা ছবি না দেখা পর্যন্ত আসলে আপনার পক্ষে বলা সম্ভব নয়, ছবিটি আপনার আদৌ ভালো লেগেছে নাকি খারাপ লেগেছে। ছবি দেখার আগে ভালো-মন্দের এই দোলাচল দুনিয়ার প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে হয়, চলচ্চিত্র উৎসবেও হয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বোধ হয় বুদাপেস্ট ক্লাসিকস ফিল্ম ম্যারাথন। কারণ, এখানে সেসব ছবিই স্থান পায়, যাতে রয়েছে কালকে পরাস্ত করার কলা, মানে শিল্পের জোরে যা সময়কে অতিক্রম করেছে, আর পেয়েছে দর্শকের তারিফ ও ভালোবাসা।
পুরোনো ধ্রুপদি চলচ্চিত্রকে পুনরুদ্ধার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যত্নসহকারে প্রদর্শন করা হয় বলেই খুব কম সময়ের ভেতর বুদাপেস্ট ক্লাসিকস ফিল্ম ম্যারাথন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলা বাহুল্য নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রকে উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে বড় পর্দায় দেখানোর উপযোগী করা হয়, সেসব ল্যাবের সঙ্গে বুদাপেস্ট ক্লাসিকস ফিল্ম ম্যারাথন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ রক্ষা করে এবং তাদের কাছ থেকে চলচ্চিত্র এনে তারা দর্শকদের দেখার সুযোগ করে দেয়। ধ্রুপদি হওয়া সত্ত্বেও সব ছবি সবার সব সময় ভালো না-ও লাগতে পারে। তবে পছন্দ-অপছন্দের ব্যক্তিক জায়গাটি বাদ দিলে, নৈর্ব্যক্তিকভাবে বলা যায় হাঙ্গেরির এই ফিল্ম ম্যারাথন মূলত বিশ্বের নানা প্রান্তের ধ্রুপদি চলচ্চিত্র দেখার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠেছে।