ইসরাইলি বর্বরতায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার প্রেক্ষাপটে গাজায় শাস্তি প্রতিষ্ঠায় ২০ দফা পরিকল্পনা সোমবার প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকে এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকা কিংবা উপত্যকায় ফেরার ‘অনুমোদনের’ কথাও বলা হয়েছে। যদিও এ পরিকল্পনা হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে পশ্চিমা গণমাধ্যম বলছে, এরপরও এটির আংশিক বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তা কীভাবে, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
এদিকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ব্যাপারে যখন পশ্চিমের দেশগুলো একে একে সমর্থন জানাচ্ছে, ততদিনে ভূখণ্ডটি পরিণত হয়েছে জীবন্ত গোরস্তানে। সম্প্রতি যুগান্তরে প্রকাশিত এএফপির একটি ছবি যেন সে কথাই বলছে। ছবিতে দেখা যায়, গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের কবরস্থানের মধ্যে তৈরি করা অস্থায়ী ক্যাম্পে রুটি তেরি করছেন ফিলিস্তিনি এক নারী, পাশে খাবারের অপেক্ষায় তিন শিশু। ছবিটি দেখলে যে কেউ বলবেন, এ যেন মৃতদের সঙ্গে বসবাস। ‘এ যেন’-এর মতো ‘উপমা’র ব্যবহার কখনো কখনো শুনতে মধুর শোনালেও এ অর্থে যে তা নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উপমার অবান্তর ব্যবহারে সাহিত্যের কী ক্ষতি হয়, বা কী রূপে উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়, সে আলোচনা বাদ দিয়ে বরং মৃতদের সঙ্গে বসবাসের যে উপমা ছবিটির ক্যাপশনে ব্যবহৃত হয়েছে, সেখানকার ভয়াবহ বাস্তবতা উপমাকে ছাড়িয়ে কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে, সে আলোচনাই বরং করা যাক।