সাভারের আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুর এলাকার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চার বছর ধরে নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেডে হেলপার পদে চাকরি করে আসছিলেন। বাবা-মা, ভাই-বোনকে নিয়ে ভালোই চলছিল তার সংসার। কিন্তু হঠাৎ নাসা গ্রুপের কারখানা বন্ধের ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
নাসির বলেন, “দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কবে বেতন দেবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। হাতে জমা টাকা যা আছে হয়ত মাসখানেক চলতে পারব। এরপর কী করব বুঝতে পারছি না।”
এই অবস্থায় কোথাও গিয়ে কাজও পাচ্ছেন না এ গ্রুপের শ্রমিকরা। নাসা গ্রুপের নাম শুনলেই বিদায় করে দিচ্ছে। কারণ শ্রমিকরা আন্দোলন করেছেন। তাদের কারও কারও নামে মামলাও হয়েছে।
নাসির বলেন, “তাহলে আমাদের কারখানা চালু না হলে না খেয়ে মরতে হবে। আমরা চাই, সরকার আমাদের কারখানা পুনরায় চালু করে দিক।”
এই দাবি নাসিরের মত চাকরিহারা আরও হাজারো শ্রমিকের। তারা প্রত্যেকই প্রায় একই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কেউ বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না, কেউ দোকানের বাকি শোধ করতে পারছেন না, কেউ সন্তানের প্রাইভেট শিক্ষককে বেতন দিতে পারছেন না। অনেকে অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।
একসঙ্গে নাসা গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণায় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেতন-ভাতা বকেয়া থাকায় তারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।